Skip to main content

প্রোগ্রামিং এর বেসিক

ঘুরেফিরে সব প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজই একই।একটা স্ট্রাকচার ভালোভাবে শিখে ফেললেই বাকিগুলো শিখতে খুব বেশী কষ্ট করতে হয়না। এই পোস্টে চেষ্টা করবো প্রোগ্রামিং এ একেবারেই নতুন বা না জানাদেরকে বেসিক দেখায় দেয়ার। কিছু কিছু জায়গায় স্যাম্পল কোড ব্যাবহার করতে হলে রেফারেন্স হিসেবে C++ ব্যাবহার করবো।

প্রথমে যেটা সম্পর্কে জানাবো সেটা হলো Data Type ।

একটা জিনিস আগে মাথায় ঢুকিয়ে দেয়া যাক। প্রোগ্রামিং এর মুল লক্ষ হলো কিছু ডাটা নিয়ে সেটাকে কিছু কাটাছেড়া করে সেটার ফলাফল নিয়ে আসা। এইজে ডাটার কথা বললাম, ডাটা তো অনেক ধরনের হতে পারে। যেমন ২, ৫.৫, হাতি, মশা, হাতির কানে মশা। এগুলা সবই ডাটা। কিন্তু ডাটা গুলো আলাদা না? কোনোটা সংখ্যা, কোনোটা শব্দ, কোনোটা বাক্য। সংখ্যার মধ্যেও আবার দশমিকযুক্ত সংখ্যা আছে, নরমাল সংখ্যা আছে। সব দজরনের ডাটাকে তো একভাবে কাটাছেড়া করা যায়না। আমরা নাহয় বুদ্ধিমান, কম্পিউটার তো আর বুদ্ধিমান না। সেজন্য বানানো হয়েছে Data Type। বিভিন্ন ধরনের ডাটাকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমে একনাগাড়ে সবগুলোর নাম বলে যাই। int, short, long, double, float, char, bool, string ইত্যাদি।

int হলো পূর্ণ সংখ্যা। short আর long এটার দুইটা সাবক্যাটাগরি, খুব ছোট আর খুব বড় সংখ্যার জন্য। float হলো দশমিক সংখ্যার জন্য। char হলো character টাইপ। প্রোগ্রামিং জগতে আমরা একটা letter (যেমন a, b, x, y) বা symbol(যেমন @, &, $) কে একেকটা character বলি। এইধরনের ডাটার জন্য ডাটা টাইপ হলো। আবার অনেকগুলো char একসাথে string গঠন করে (যেমন c language, derfaisalnabil )।

এবার আসবো variable এ। একটা জগ ভর্তি আমের জুসের কথা চিন্তা কর। জুসটা যদি Data হয় তাহলে জগটা variable। যেকোন নামের একটা variable বানায়ে তার মধ্যে ডাটাগুলো রাখা হয়। কি ধরনের ডাটা রাখা হবে সেই অনুযায়ী variable এর ডাটা টাইপ নির্ধারন করা হয়। variable বানানোর একটা উদাহরন দেই।

int number = 10;
এই লাইনের অর্থ হচ্ছে number নামের একটা জগ বানালাম, যেটা শুধু int টাইপের জুস রাখতে পারে। সেখানে 10 রাখলাম, জুস হিসেবে। এইটাই variable এর কাজ। একটা কোডের ভেতর variable গুলোকে property বলা হয়।

কোড শুধু variable দিয়ে হয়না। আরেক ধরনের কাজ থাকে। এটাকে বলে function। ফাংশন জিনিশটা একটা ব্লেন্ডার মেশিনের মত। আমরা যেমন ব্লেন্ডারে গোটা কিছু আমের টুকরা দিয়ে দেই, ব্লেন্ডার টুকরা গুলোকে ব্লেন্ড করে। সব শেষে আমাদেরকে জুস দেয়। function এর কাজও এরকমই। কিছু একটা ইনপুট নেয়, কিছু একটা করে, কিছু একটা ফেরত দেয়।

একটা কোড দেখা যাক,

int sum(int a, int b){
    return a + b;
}

এটা মোটামুটি একটা ফাংশনের চেহারা। ভয় পাওয়ার কিছু নাই। একটু এক্সপ্লেইন করলেই বুঝা যাবে। sum হচ্ছে ফাংশনটার নাম। ব্র্যাকেটের ভেতর দুইটা variable দেখা যাচ্ছে। এই দুইটা ফাংশনের ইনপুট। return নামের কিছু একটা। return দিয়ে ফাংশনের আউটপুট বের হবে। আমরা ফাশন থেকে return দিচ্ছি, অর্থাৎ আউটপুট দিচ্ছি a+b । মানে ফাংশন দিয়ে দুইটা সংখ্যার যোগফল বের হবে। সামনে একটা int দেখা যাচ্ছে। এটার কাজও variable এর ওই int এর মত। এই sum এর রিটার্ন টাইপ হবে int । মানে ফাংশন যেটা আউটপুট দিবে সেটা অবশ্যই int টাইপের হতে হবে। এক কাজ করা যাক। ফাংশনটা কিভাবে কাজে লাগে সেটা দেখা যাক।

int number = sum(10, 20);

আমরা sum ফাংশনটা কল করলাম। ইনপুট হিসেবে দুইটা নাম্বার দিলাম। লক্ষণীয়, নাম্বার দুইটাই int কারন ফাংশনের ডেফিনিশন অনুযায়ী দুইটা নাম্বারই int হতে হবে। এই অংশটুকু একটা যোগফল দিবে আমাদেরকে। যেটা 30 । তারপর নাম্বারটা number variable এ যেয়ে জমা হবে।

এই ছিলো কোডিং এর বেসিক। এরপর কোড করা শুরু করলে অল্প অল্প করে সব রপ্ত হবে। বলে রাখা ভালো, কোডিং শুরু করতে চাইলে সবচেয়ে ভালো হয় C অথবা C++ দিয়ে শুরু করলে। দুইটাই অনেক পাওয়ারফুল হওয়া স্বত্বেও খুব বেসিক। তাই শেখা সহজ।

আমার পরের টপিক হবে ডেটা স্ট্রাকচার।

হ্যাপী কোডিং 😉✌

Comments

Some of My Bests

ডাটা স্ট্রাকচার- স্ট্যাক (Stack)

Programming is all about data manipulation. Data structure is way of storing data for further manipulation. ডাটা স্ট্রাকচার আমাদেরকে বিভিন্ন ডাটা সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে দেয়। ডাটা সাজিয়ে রাখার অনেক গুলো "তরিকা" আছে। কোনকিছু আমরা কেন সাজিয়ে রাখি? যেন পরে নির্দিষ্ট একটা ডাটা সহজে খুঁজে পেতে পারি। "তরিকা" গুলোর নাম Array, Stack, Queue, Linked List, Tree, Graph. এগুলা শ খানেক ডাটা স্ট্রাকচারের মধ্যে কিছুর নাম, যেগুলো অনেক বেশি ব্যবহার হয়। এই পোস্টটা স্ট্যাক বুঝানোর জন্য। স্ট্যাক খুবই ইন্টেরেস্টিং একটা ডাটা স্ট্রাকচার। অনেক কারনেই এটা ব্যাবহার হয়। আগে স্ট্যাক কনসেপ্টটা নিয়ে আলোচনা করা যাক। স্ট্যাক বলতে বোঝায় একটার উপর একটা সাজায়ে রাখা। বিয়ের বাড়িতে আগে মেলামাইনের গ্লাস দেখা যেত একটার ভেতর আরেকটা ঢুকায়ে লম্বা একটা পাইল তৈরি করে একসাথে ক্যারি করা হচ্ছে। এটা একটা স্ট্যাক। প্রোগ্রামিং এর ভাষায় স্ট্যাক এক্সাক্টলি সেইম জিনিসই। তবে একটু ঘষামাজা আছে। আরেকটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। বয়ামের ভেতর একটার পর আরেকটা বিস্কিট ঢুকিয়ে রাখা হয়। হ্যা, এইটা পারফেক্ট উদাহরণ হয়েছে। এই

ডাটা স্ট্রাকচার- কিউ (Queue)

Programming is all about data manipulation. Data structure is way of storing data for further manipulation. ডাটা স্ট্রাকচার আমাদেরকে বিভিন্ন ডাটা সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে দেয়। ডাটা সাজিয়ে রাখার অনেক গুলো "তরিকা" আছে। কোনকিছু আমরা কেন সাজিয়ে রাখি? যেন পরে নির্দিষ্ট একটা ডাটা সহজে খুঁজে পেতে পারি। "তরিকা" গুলোর নাম Array, Stack, Queue, Linked List, Tree, Graph. এগুলা শ খানেক ডাটা স্ট্রাকচারের মধ্যে কিছুর নাম, যেগুলো অনেক বেশি ব্যবহার হয়। এই পোস্টটা কিউ বুঝানোর জন্য। কিউ জিনিসটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। জীবনে আমরা সবাই কখনো না কখনো লাইনে দাঁড়ায়ছি। কিউ এর বেসিক ক্যারেক্টারিস্টিকসের সাথে মিলিয়েই প্রোগ্রামিং এ কিউ এর কনসেপ্ট। বাস্তব জীবনে একটা কিউ তে কি হয়? সবাই লাইন ধরে দাঁড়ায় কিছু একটা কারনে। যে সবার আগে দাঁড়ায় সেই সবার আগে কার্জসিদ্ধি করে। সবার পরের জন সবার পরে। স্ট্যাকের ক্ষেত্রে আমরা পড়েছিলাম Last In First Out (LIFO) or First In Last Out (FILO)। কেমন আনফেয়ার শোনায় না? সবার পরে আসবে, আবার সবার আগে চলে যাবে। অ্যাটলিস্ট আমার আনফেয়ার লেগেছিলো যখন স্ট্যাক শিখছিল

কম্পিউটার বচন

কম্পিউটারের সাথে আমার পরিচয় খুব ছোট বয়সে না। অন্তত চেনাপরিচিত বন্ধুমহলের অনেকের তুলনায় আমি বাচ্চাই বলা চলে। ক্লাস ২ বা ৩ তে পড়ি যখন ফুফাতো ভাই প্রথম কম্পিউটার কেনে। ফুফুর বাসা কাছেই হওয়ায় মাঝে মাঝেই সেটা দেখার সৌভাগ্য হতো। কিন্তু ছুয়ে দেখার সাহস তখনও হয়নি। সেই বছর থেকে আমাদের রেওয়াজ, ঈদের দিন নামাজ পড়েই সোজা ভাইয়ার রুমে। ভাইয়া নতুন একটা গেম ইন্সটল করে রাখতো আর আমরা কাজিনেরা লাইন দিয়ে সেটা খেলতাম (যদিও আমার ভাগে কমই পড়তো :p )  ক্লাস সিক্সে নতুন স্কুলে ভর্তি হলাম। এ এক আজব জায়গা। সবাই বড়লোকের পোলাপাইন। কতজন গাড়িতে করে আসে। তাদের তো কথাই নাই। যাদের গাড়ি নাই তাদেরও রোজকার বাজেট বিশাল। ইচ্ছামত উড়ায়। আর আমি মধ্যবিত্তের ছেলে। যাওয়া আসার ভাড়া বাদে কোনো টাকা পেতামনা। টিফিন বাসা থেকে বানায়ে দিতো। এই যখন আমার অবস্থা তখন ক্লাসমেটরা নিত্যনতুন গ্যাজেটের সাথে শুধু পরিচয়ই না, পকেটে নিয়ে ঘুরে (যদিও স্কুলে নিষিদ্ধ ছিলো )। সবাই এসব নিয়ে কত গল্প চালায় যায়। আর আমার মত বোকা কিছু পাবলিক হা করে এদের গল্প শুনি। কম্পিউটারের কত বচন, কত আড্ডা। এসব আড্ডায় ঢুকতে কত ইচ্ছা করতো, কিন্তু ঢুকবো কি করে? আমার কম্পিউটা