Skip to main content

জ্যামরিন- A cross platform mobile application builder


জ্যামরিনের নাম শুনেছি প্রায় বছর খানেক আগে যখন C# শিখছিলাম তখন। বন্ধু তুহিন এটার নাম মেনশন করে প্রথম। ওই যতটুকু আইডিয়া পেয়েছিলো ততটুকুই বলেছিলো। একটা ফ্রেমওয়ার্ক, মোবাইল অ্যাপ রিলেটেড। কিন্তু ভিজুয়াল স্টুডিও দিয়ে। খুব বেশী আগ্রহ পাইনি তখন। আগ্রহটা জন্মালো এই কিছুদিন আগে। আগ্রহ নিয়েই জ্যামরিনের সম্পর্কে খোঁজ নেয়া শুরু করলাম। কিছু ধারনা পেয়েছি। এই পোস্টটা আমার সেই ক্ষুদ্র ধারনা নিয়েই।

কিছু ইনট্রোঃ মাইক্রোসফট হলো সবচেয়ে বড় টেক জায়ান্টদের মধ্যে একটা। Unlike any other tech giants, Microsoft buys innovative startups and stuff. জ্যামরিনও মাইক্রোসফটের এরকম একটা সাবসিডিয়ারি। জ্যামরিনের শুরু বেশ আগে, ২০১৩ এর দিকে। মাইক্রোসফটের সাথে এর যাত্রা ২০১৬ থেকে।

C# ল্যাঙ্গুয়েজটা মাইক্রোসফটের একপ্রকার নিজের ঘরের। উইন্ডোজ বেজড যেকোনও অ্যাপ্লিকেশন তৈরিতে C# এর জুড়ি নাই। অথচ অন্য প্লাটফর্মে এই ল্যাঙ্গুয়েজের অবস্থা টালমাটাল। একটা সময় মোবাইল ডিভাইসের অ্যাপ্লিকেশন গুলো তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট ল্যাঙ্গুয়েজই ছিলো। যেমন অ্যান্ড্রয়েডের জন্য জাভা। iOS এর জন্য সুইফট বা অবজেক্টিভ-সি। জ্যামরিনের ফাউন্ডাররা চিন্তা করলো যে একই প্লাটফর্মে সব ধরনের মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের জন্য অ্যাপ্লিকেশন বানানোর ব্যবস্থা করলে কেমন হয়? এই লক্ষে তারা নিজস্ব IDE এর জন্য একটা প্লাগইন বানায়, Xamarin.Mac এর কাজ ছিলো C# দিয়ে এমন অ্যাপ্লিকেশন বানানো যেটা ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমে রান করতে পারে। ২০১৩ এর মাথায় তারা জ্যামরিন ২.০ রিলিজ দেয় যার মধ্যে ছিলো Xamarin.Android এবং Xamarin.iOS । যথাক্রমে অ্যান্ড্রয়েড আর আইওএস প্লাটফর্মে C# বেজড অ্যাপ্লিকেশনের জন্য। তারপর ২০১৬ তে মাইক্রোসফট ঘোষনা দেয় ভিজুয়াল স্টুডিওতে ইন্টিগ্রেটেড জ্যামরিন ডেভেলপমেন্ট টুলের, যেটা আমরা অলরেডি ভিজুয়াল স্টুডিওর নতুন রিলিজ ভিজুয়াল স্টুডিও ২০১৭ এ পেয়ে গেছি।

জ্যামরিনের মুল লক্ষ হলো, যা কিছু জাভা, সুইফট বা অবজেক্টিভ-সি দিয়ে করা যায়, তার সবই C# আর ভিজুয়াল স্টুডিও দিয়ে করতে পারার ব্যবস্থা করা। জ্যামরিন যেটা করে সেটা হলো শেয়ারড C# লজিকের উপর প্লাটফর্ম গুলার C# কোড রান করা। এর মাধ্যমে যেই API গুলা জাভা বা সুইফট দিয়ে ব্যবহার করা যেত, সেটা C# দিয়েও করা যায়।
জ্যামরিনের দুইটা অ্যাপ্রোচ আছে, কোড রান করার। একটা হলো ন্যাটিভ অ্যাপ্রোচ আরেকটা Xamarin.Forms অ্যাপ্রোচ।
ন্যাটিভ অ্যাপ্রোচে যেটা করা হয় তা হলো শেয়ারড একটা C# কোড যেটা বিজনেস লজিক লেভেলে থাকে, সেটার উপর প্লাটফরম অনুযায়ী UI নিয়ে কাজ করা হয়। অ্যান্ড্রয়েডের জন্য আলাদা UI, iOS এর জন্য আলাদা UI এরকম।
Xamarin.Forms ওদের তুলনামূলক নতুন অ্যাপ্রোচ। তারা যেটা করেছে সেটা হলো অ্যাড্রয়েড, iOS, Windows এগুলার কমন কন্ট্রোল গুলো অ্যাবস্ট্রাক্টেড অবস্থায় রেখেছে। যেনো কন্ট্রোলটা কিছুটা হলেও জ্যামরিনের হাতে থাকে, একটু বেশী স্ট্রাকচারড থাকে।

এই ছবিটা দিয়ে জ্যামরিনের Xamarin .Forms এর ভেতরের আর্কিটেকটারটা দেখানো হয়েছে।

জ্যামরিন যেভাবে কাজ করেঃ
C# এর কমন কিছু লাইব্রেরি আছে যেমন System, System.Net, System.Data, System.Linq, System.Core। জ্যামরিনের মাধ্যমে এগুলোর সাথে প্লাটফর্ম রিলেটেড API গুলো ইনহেরিট করে নিয়ে আসা হয়। যেমন অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে কাজ করতে চাইলে ActionBar, Text-to-speech বা iOS নিয়ে কাজ করতে চাইলে MapKit, UIKit এই টাইপের API গুলো ইউজ হয়। এতে যা হয় তা হলো C# এর কোডের মাধ্যমে এই API গুলো ব্যবহার করা যায়। API ব্যবহার করারও ব্যবস্থা আছে। iOS এর ক্ষেত্রে Ahead Of Time (AOT) বা অ্যান্ড্রয়েডের ক্ষেত্রে Just In Time (JIT) কম্পাইলেশন ব্যবহার করে যথাক্রমে .app এবং .apk ফাইল তৈরি করে নেয়া হয়। যেন যথার্থ অপারেটিং সিস্টেমে অ্যাপ গুলো চলতে পারে।

তাছাড়াও অপারেটিং সিস্টেম গুলোর আপডেট গুলো জ্যামরিন সব সময় ফলো করে। তাই নতুন নতুন API গুলো একেবারে শুরুতেই পাওয়া যাবে। ভিজুয়ার স্টুডিও ২০১৭ এ যেহেতু জ্যামরিনও ইন্টিগ্রেট করা হয়েছে, তাই বেশ সুবিধা পাওয়া যাবে

পরিশেষে যারা নতুন কিছু ট্রাই করে দেখতে চান বা আমার মত C# এর ফ্যান, তারা জ্যামরিন ট্রাই করে দেখতে পারেন। কারন এতদিন C# দিয়ে মোবাইলের অ্যাপ বিল্ড করা একতা স্বপ্নের মত ছিলো। সেটা এখন বাস্তব।

এই আর্টিকেলটা লিখতে যেই রিসোর্স গুলো ব্যবহার করা হয়েছেঃ

  1. Xamarin's YouTube video
  2. Xamarin's Developers Guide

Comments

Some of My Bests

ডাটা স্ট্রাকচার- স্ট্যাক (Stack)

Programming is all about data manipulation. Data structure is way of storing data for further manipulation. ডাটা স্ট্রাকচার আমাদেরকে বিভিন্ন ডাটা সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে দেয়। ডাটা সাজিয়ে রাখার অনেক গুলো "তরিকা" আছে। কোনকিছু আমরা কেন সাজিয়ে রাখি? যেন পরে নির্দিষ্ট একটা ডাটা সহজে খুঁজে পেতে পারি। "তরিকা" গুলোর নাম Array, Stack, Queue, Linked List, Tree, Graph. এগুলা শ খানেক ডাটা স্ট্রাকচারের মধ্যে কিছুর নাম, যেগুলো অনেক বেশি ব্যবহার হয়। এই পোস্টটা স্ট্যাক বুঝানোর জন্য। স্ট্যাক খুবই ইন্টেরেস্টিং একটা ডাটা স্ট্রাকচার। অনেক কারনেই এটা ব্যাবহার হয়। আগে স্ট্যাক কনসেপ্টটা নিয়ে আলোচনা করা যাক। স্ট্যাক বলতে বোঝায় একটার উপর একটা সাজায়ে রাখা। বিয়ের বাড়িতে আগে মেলামাইনের গ্লাস দেখা যেত একটার ভেতর আরেকটা ঢুকায়ে লম্বা একটা পাইল তৈরি করে একসাথে ক্যারি করা হচ্ছে। এটা একটা স্ট্যাক। প্রোগ্রামিং এর ভাষায় স্ট্যাক এক্সাক্টলি সেইম জিনিসই। তবে একটু ঘষামাজা আছে। আরেকটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। বয়ামের ভেতর একটার পর আরেকটা বিস্কিট ঢুকিয়ে রাখা হয়। হ্যা, এইটা পারফেক্ট উদাহরণ হয়েছে। এই

ডাটা স্ট্রাকচার- কিউ (Queue)

Programming is all about data manipulation. Data structure is way of storing data for further manipulation. ডাটা স্ট্রাকচার আমাদেরকে বিভিন্ন ডাটা সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে দেয়। ডাটা সাজিয়ে রাখার অনেক গুলো "তরিকা" আছে। কোনকিছু আমরা কেন সাজিয়ে রাখি? যেন পরে নির্দিষ্ট একটা ডাটা সহজে খুঁজে পেতে পারি। "তরিকা" গুলোর নাম Array, Stack, Queue, Linked List, Tree, Graph. এগুলা শ খানেক ডাটা স্ট্রাকচারের মধ্যে কিছুর নাম, যেগুলো অনেক বেশি ব্যবহার হয়। এই পোস্টটা কিউ বুঝানোর জন্য। কিউ জিনিসটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। জীবনে আমরা সবাই কখনো না কখনো লাইনে দাঁড়ায়ছি। কিউ এর বেসিক ক্যারেক্টারিস্টিকসের সাথে মিলিয়েই প্রোগ্রামিং এ কিউ এর কনসেপ্ট। বাস্তব জীবনে একটা কিউ তে কি হয়? সবাই লাইন ধরে দাঁড়ায় কিছু একটা কারনে। যে সবার আগে দাঁড়ায় সেই সবার আগে কার্জসিদ্ধি করে। সবার পরের জন সবার পরে। স্ট্যাকের ক্ষেত্রে আমরা পড়েছিলাম Last In First Out (LIFO) or First In Last Out (FILO)। কেমন আনফেয়ার শোনায় না? সবার পরে আসবে, আবার সবার আগে চলে যাবে। অ্যাটলিস্ট আমার আনফেয়ার লেগেছিলো যখন স্ট্যাক শিখছিল

কম্পিউটার বচন

কম্পিউটারের সাথে আমার পরিচয় খুব ছোট বয়সে না। অন্তত চেনাপরিচিত বন্ধুমহলের অনেকের তুলনায় আমি বাচ্চাই বলা চলে। ক্লাস ২ বা ৩ তে পড়ি যখন ফুফাতো ভাই প্রথম কম্পিউটার কেনে। ফুফুর বাসা কাছেই হওয়ায় মাঝে মাঝেই সেটা দেখার সৌভাগ্য হতো। কিন্তু ছুয়ে দেখার সাহস তখনও হয়নি। সেই বছর থেকে আমাদের রেওয়াজ, ঈদের দিন নামাজ পড়েই সোজা ভাইয়ার রুমে। ভাইয়া নতুন একটা গেম ইন্সটল করে রাখতো আর আমরা কাজিনেরা লাইন দিয়ে সেটা খেলতাম (যদিও আমার ভাগে কমই পড়তো :p )  ক্লাস সিক্সে নতুন স্কুলে ভর্তি হলাম। এ এক আজব জায়গা। সবাই বড়লোকের পোলাপাইন। কতজন গাড়িতে করে আসে। তাদের তো কথাই নাই। যাদের গাড়ি নাই তাদেরও রোজকার বাজেট বিশাল। ইচ্ছামত উড়ায়। আর আমি মধ্যবিত্তের ছেলে। যাওয়া আসার ভাড়া বাদে কোনো টাকা পেতামনা। টিফিন বাসা থেকে বানায়ে দিতো। এই যখন আমার অবস্থা তখন ক্লাসমেটরা নিত্যনতুন গ্যাজেটের সাথে শুধু পরিচয়ই না, পকেটে নিয়ে ঘুরে (যদিও স্কুলে নিষিদ্ধ ছিলো )। সবাই এসব নিয়ে কত গল্প চালায় যায়। আর আমার মত বোকা কিছু পাবলিক হা করে এদের গল্প শুনি। কম্পিউটারের কত বচন, কত আড্ডা। এসব আড্ডায় ঢুকতে কত ইচ্ছা করতো, কিন্তু ঢুকবো কি করে? আমার কম্পিউটা