Skip to main content

Alto's Adventure -An endless snowboarding odyssey

এক দশক ধরে স্মার্টফোনের জয়জয়কার চলছে। স্মার্টফোন শুধু কমিউনিকেশনের মাধ্যম থেকে পার হয়ে বহুদূর এগিয়ে গেছে। প্রজন্মের একটা বড় অংশ বিনোদনের প্রধান উপকরন হিসেবে স্মার্টফোনকে দেখে। সেই বিনোদনেরও একটা উপায় হলো মোবাইলে গেম খেলা। একটা বিশেষ গেমের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে লিখতে বসেছি। গেমটার নাম "Alto's Adventure"। ইতোমধ্যেই গেমটি বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। গেমটা প্রমান দেয় যে একটা সফল গেমের জন্য ধুমন্ধার অ্যাকশন বা মগজের উপর জোর দেয়া, এই বিষয় গুলো না থাকলেও চলে।

গেমের মুল থিমটা হলো স্নো বোর্ডিং। মূল নায়ক অলতোকে নিয়ে পাহাড়ে স্নো বোর্ডিং করতে হবে। কি? ইচ্ছা দমে গেলো? আসলেও স্নো বোর্ডিং বা এই ধরনের রিয়েল লাইফ গেম নিয়ে এর আগে হাজার হাজার গেম বানানো হয়েছে। তা এতে এমন কি আছে যে আলাদা ভাবে লিখতে হবে। আছে জনাব, তা অবশ্যই আছে। গেমটা খেলে প্রথম যেই চিন্তাটা মাথায় আসে তা হলো, এত রিল্যাক্সিং কি করে হতে পারে? তাও আবার একটা গেম? রিল্যাক্সিং হবার অন্যতম কারন হচ্ছে এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। পিয়ানোর ছন্দগুলো শুনলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। তার সাথে বৃষ্টির সম সেটার আওয়াজ, বাজ পড়ার আওয়াজ ইত্যাদি পারিপার্শ্বিক শব্দ গুলো তো আছেই।
 দ্বিতীয় যেই ব্যাপারটা তা চোখে ধরার। চমৎকার গ্রাফিক্স। শুভ্র বরফ ঘেরা পর্বত বেয়ে যখন অলতোকে নামতে দেখবেন তখন ভাববেন ওখানে আমি নেই কেন? একটা গেমের ভেতরেও যে এত সুন্দর সুর্যোদয় দেখা যেতে পারে তা কল্পনাতীত। অলতোকে এগিয়ে আসতে দেখে যখন পাখি গুলোকে উড়ে যেতে দেখবেন তখন মনের ভেতর একটা তৃপ্তি আসবে। 

এছাড়া আছে চমৎকার ফিজিক্সের ব্যবহার, চমৎকার গল্পের ব্যবহার।

গল্পঃ গল্পের মূল ্নায়ককে আগেই পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে। সে নেপাল বা ভুটান জাতীয় কোন পর্বতঘেরা স্থানের বাসিন্দা। তার কিছু লামা (পর্বতের গৃহপালিত পশু) বাধন ছুটে পালিয়ে যাচ্ছে। তার কাজ সেগুলোকে ধরে ধরে আনা। এই অ্যাডভেঞ্চারে সে বন জংগল, পাহাড়ের নিচু ঢাল, ছোট ছোট বাড়িঘর, এগুলো পার করে। তাছাড়াও পার করতে হয় গভীর গিরিখাত। এই ছুটে চলার মাঝেই আমরা দেখবো দিন থেকে রাত হওয়া, আবার রাত পেরিয়ে দিন। ভোরের আলোতে শুভ্র তুষার, সূর্যাস্তের মায়াবী আলো, সন্ধ্যের ছমছমে ভাব, গভীর রাতের আকাশ ভর্তি তারা। ঝড়-বৃষ্টি হোক আর মাথার উপরে সূর্য, কোনকিছুতেই এই ছুটেচলা থামবেনা। কিছু অবস্টাকল অবশ্যই আছে। যেমন সেই গিরিখাত। বা পাথরের স্তুপ। কিছু আগুনের কুন্ডলীও পাওয়া যায় মাঝে মাঝে। নির্দিষ্ট দূরত্ব পার করলে পিছু নিবে "Elder"। এই এল্ডার কিছুটা ভিলেনের মত। তারা পুচকে অলতোর এত জোরে জোরে চলা পছন্দ করেনা। তাই চেষ্টা করে পিছু নিয়ে তাকে ফেলে দিতে। ফেলে দেয়ার পর বলবে "Respect your elders" :D । কাহিনী বলতে গেলে এতটুকুই। কিছু সাব-মিশন আছে। যেমন নির্দিষ্ট সংখ্যক কয়েন কালেক্ট করা বা এল্ডারের পিছু ছুটানো। তাছাড়া গেমে কোনও প্যাঁচ নেই। একেবারে ফাঁকা মস্তিষ্কে রিল্যাক্স ভাবে গেমটা খেলা যায়।



কয়েক লেভেল পার করার পর পাওয়া যাবে অলতোর দুইটা বন্ধুকে। আরো কিছু লেভেল পার করলে সীমিত সময়ের জন্য উড়ে বেড়ানোর অ্যাবিলিটিও পাওয়া যাবে। আবার যারা একেবারেই কোনও মিশন পছন্দ করেনা, তাদের জন্য আছে ফ্রি রান মোড। বারবার পা হড়কে পড়ে গেলেও আবার সেখান থেকেই শুরু করা যাবে এই মোডে। 

এই ছিলো অলতোর অ্যাডভেঞ্চার। যারা একটা সুন্দর দৃশ্যসংবলিত মোহনীয় ব্যাকগ্রাউণ্ড মিউজিক শুনে অলতোর অ্যাডভেঞ্চার দেখতে চান, তারা আজই গেমটি ডাউনলোড করে খেলা শুরু করতে পারেন। আপনিও অবাক হতে বাধ্য।

আমার একটি ফ্রি টিপ। হেডফোন কানে দিয়ে ব্রাইটনেস ফুল করে নিলে ভালো হয়।

Some of the PRAISING WORDS:

*15 most beautiful app on App Store
*Best app of February 2015 on App Store
*A piece of interactive art -WIERD
*Alto's Adventure demands your attention -IGN
*Pristine and refined -The Los Angeles Times
*Satisfies the soul -Tech Crunch
*Alto's Adventure is remarkably soothing -The New York Observer


Rating:

Pocket Gamer: 9/10
Gamezebo: 5/5
TouchArcade: 4.5/5

Comments

Some of My Bests

ডাটা স্ট্রাকচার- স্ট্যাক (Stack)

Programming is all about data manipulation. Data structure is way of storing data for further manipulation. ডাটা স্ট্রাকচার আমাদেরকে বিভিন্ন ডাটা সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে দেয়। ডাটা সাজিয়ে রাখার অনেক গুলো "তরিকা" আছে। কোনকিছু আমরা কেন সাজিয়ে রাখি? যেন পরে নির্দিষ্ট একটা ডাটা সহজে খুঁজে পেতে পারি। "তরিকা" গুলোর নাম Array, Stack, Queue, Linked List, Tree, Graph. এগুলা শ খানেক ডাটা স্ট্রাকচারের মধ্যে কিছুর নাম, যেগুলো অনেক বেশি ব্যবহার হয়। এই পোস্টটা স্ট্যাক বুঝানোর জন্য। স্ট্যাক খুবই ইন্টেরেস্টিং একটা ডাটা স্ট্রাকচার। অনেক কারনেই এটা ব্যাবহার হয়। আগে স্ট্যাক কনসেপ্টটা নিয়ে আলোচনা করা যাক। স্ট্যাক বলতে বোঝায় একটার উপর একটা সাজায়ে রাখা। বিয়ের বাড়িতে আগে মেলামাইনের গ্লাস দেখা যেত একটার ভেতর আরেকটা ঢুকায়ে লম্বা একটা পাইল তৈরি করে একসাথে ক্যারি করা হচ্ছে। এটা একটা স্ট্যাক। প্রোগ্রামিং এর ভাষায় স্ট্যাক এক্সাক্টলি সেইম জিনিসই। তবে একটু ঘষামাজা আছে। আরেকটা উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। বয়ামের ভেতর একটার পর আরেকটা বিস্কিট ঢুকিয়ে রাখা হয়। হ্যা, এইটা পারফেক্ট উদাহরণ হয়েছে। এই

ডাটা স্ট্রাকচার- কিউ (Queue)

Programming is all about data manipulation. Data structure is way of storing data for further manipulation. ডাটা স্ট্রাকচার আমাদেরকে বিভিন্ন ডাটা সাজিয়ে রাখার ব্যবস্থা করে দেয়। ডাটা সাজিয়ে রাখার অনেক গুলো "তরিকা" আছে। কোনকিছু আমরা কেন সাজিয়ে রাখি? যেন পরে নির্দিষ্ট একটা ডাটা সহজে খুঁজে পেতে পারি। "তরিকা" গুলোর নাম Array, Stack, Queue, Linked List, Tree, Graph. এগুলা শ খানেক ডাটা স্ট্রাকচারের মধ্যে কিছুর নাম, যেগুলো অনেক বেশি ব্যবহার হয়। এই পোস্টটা কিউ বুঝানোর জন্য। কিউ জিনিসটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। জীবনে আমরা সবাই কখনো না কখনো লাইনে দাঁড়ায়ছি। কিউ এর বেসিক ক্যারেক্টারিস্টিকসের সাথে মিলিয়েই প্রোগ্রামিং এ কিউ এর কনসেপ্ট। বাস্তব জীবনে একটা কিউ তে কি হয়? সবাই লাইন ধরে দাঁড়ায় কিছু একটা কারনে। যে সবার আগে দাঁড়ায় সেই সবার আগে কার্জসিদ্ধি করে। সবার পরের জন সবার পরে। স্ট্যাকের ক্ষেত্রে আমরা পড়েছিলাম Last In First Out (LIFO) or First In Last Out (FILO)। কেমন আনফেয়ার শোনায় না? সবার পরে আসবে, আবার সবার আগে চলে যাবে। অ্যাটলিস্ট আমার আনফেয়ার লেগেছিলো যখন স্ট্যাক শিখছিল

কম্পিউটার বচন

কম্পিউটারের সাথে আমার পরিচয় খুব ছোট বয়সে না। অন্তত চেনাপরিচিত বন্ধুমহলের অনেকের তুলনায় আমি বাচ্চাই বলা চলে। ক্লাস ২ বা ৩ তে পড়ি যখন ফুফাতো ভাই প্রথম কম্পিউটার কেনে। ফুফুর বাসা কাছেই হওয়ায় মাঝে মাঝেই সেটা দেখার সৌভাগ্য হতো। কিন্তু ছুয়ে দেখার সাহস তখনও হয়নি। সেই বছর থেকে আমাদের রেওয়াজ, ঈদের দিন নামাজ পড়েই সোজা ভাইয়ার রুমে। ভাইয়া নতুন একটা গেম ইন্সটল করে রাখতো আর আমরা কাজিনেরা লাইন দিয়ে সেটা খেলতাম (যদিও আমার ভাগে কমই পড়তো :p )  ক্লাস সিক্সে নতুন স্কুলে ভর্তি হলাম। এ এক আজব জায়গা। সবাই বড়লোকের পোলাপাইন। কতজন গাড়িতে করে আসে। তাদের তো কথাই নাই। যাদের গাড়ি নাই তাদেরও রোজকার বাজেট বিশাল। ইচ্ছামত উড়ায়। আর আমি মধ্যবিত্তের ছেলে। যাওয়া আসার ভাড়া বাদে কোনো টাকা পেতামনা। টিফিন বাসা থেকে বানায়ে দিতো। এই যখন আমার অবস্থা তখন ক্লাসমেটরা নিত্যনতুন গ্যাজেটের সাথে শুধু পরিচয়ই না, পকেটে নিয়ে ঘুরে (যদিও স্কুলে নিষিদ্ধ ছিলো )। সবাই এসব নিয়ে কত গল্প চালায় যায়। আর আমার মত বোকা কিছু পাবলিক হা করে এদের গল্প শুনি। কম্পিউটারের কত বচন, কত আড্ডা। এসব আড্ডায় ঢুকতে কত ইচ্ছা করতো, কিন্তু ঢুকবো কি করে? আমার কম্পিউটা